১৮ মে’  জুমাবার মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার পূর্বে “মুসলিম ঐক্য ও আমাদের দায়িত্ব” শীর্ষক বিষয়ে ইংরেজী ভাষায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের গৌরব, বিদগ্ধ ইসলামী চিন্তাবিদ, ইয়াদগারে খতীবে আযম রহ., বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক সফল কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন। এসময় তিনি কিছু প্রস্তাবনাও উপস্থাপন করেন। পরে বরেণ্য আলেমেদ্বীন ড. খালিদ হোসেন ওই মসজিদে জুৃমা’র খুতবা প্রদান ও ইমামতি করেন। তিনি জুমার নামায শেষে মসজিদের ভেতরে বিদেশী এক ব্যক্তির জানাযার নামাযেও ইমামতি করেন। বিপুল সংখ্যক ছাত্র, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সাধারণ মুসল্লি নামাযে অংশ নেন।

প্রজেক্টরের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান বিভিন্ন কক্ষে রিলে করা হয়। পৃথক এনক্লোজারে ছাত্রী ও মহিলা শিক্ষিকাবৃন্দ পর্দার সাথে নামায আদায় করেন।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৭টি দেশের ৩০,৬৪৯ জন ছাত্র-ছাত্রী ১৪টি ফ্যাকাল্টি ও ৩টি ইনিস্টিটিউটের অধীনে ভাষা, অনার্স ও মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ১৯৮০ জন শিক্ষক রয়েছেন। এখানে ১৯টি ছাত্রাবাস রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি মেয়েদের। মেয়েদের হলে পুরুষ ছাত্রদের আর ছেলেদের হলে মেয়েদের আনাগোনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বিদেশের মাটিতেও ড. খালিদ হোসেনের এই কৃতিত্ব স্বদেশের ভাবমর্যাদাকে সমুন্নত করে। বিশ্বময় ইসলামের সৌন্দর্য উপস্থাপনে তাঁর নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক ও গৌরবজনক।
মালয়েশিয়ার মতো বহুল সমাদৃত ও আলোচিত রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে খুৎবা প্রদানের এই কৃতিত্বের জন্য আমাদের অকৃত্রিম অভিভাবক ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেনকে ইসলামী ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে জানাই পুষ্পিত অভিনন্দন।
আল্লাহ দ্বীনি খেদমতের এ বিকাশধারায় হযরতের একনিষ্ঠ প্রয়াস কবুল করে খতীবে আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ রহ.এর যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।